মহাবিশ্বের তত্ব নিয়ে একটি হচ্ছে ‘বিগ ব্যাং থিওরি’।
এই তত্বে বলা হয় এক মহা বিষ্ফোরনের পর,ছোট্ট একটা বল থেকে এই বিশ্বভ্রমান্ডের জন্ম হয়।
এর পক্ষে বিপক্ষে এখনও অনেক মতামত রয়েছে।তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন,তারা এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যা বিগ ব্যাং কে সমর্থন করে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেছেন,মহাজগত সৃষ্টি হওয়ার আগে,যে অসম্ভব রকমের দ্রুত গতিতে মহাজগত সম্প্রসারিত হয়েছিল,তার কিছু নমুনা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন
আর এইসব হয়েছিল এক সেকেন্ডের কম সময়ে।আর কোটি কোটি বছর আগের সে ঘটনায় যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল,, সে আলোর তরংগবিজ্ঞানীদের ককাছে টেলিস্কোপের মাধ্যমে ধরা দিয়েছে।
বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার নিয়ে ইতিমধ্যে বহু কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন,যাদের দলের নাম বাইসেপ – টু। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে আকাশের অংশে তারা টেলিস্কোপ দিয়ে নজর রাখছেন।
তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে,মহাজগতের সেই সম্প্রসারের সময়কার অবশিষ্ট কিছু চিহ্ন খুজে বের করা।এই সম্প্রসারণের ঘটনা ঘটেছিল এক সেকেন্ডের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভাগের কম সময়ের মধ্যে।
বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদ দাতা ডেভিড সুকমান এই প্রকল্প নিয়ে ব্যাখা করতে গিয়ে বলেছেন,এটা একটা যুগান্তকারী ঘটনা।
তিনি বলেন মহাকাশ জন্ম সম্পর্কে বিগ ব্যাং এর ধারণা করা হচ্ছে প্রায় কয়েক দশক ধরে।কিন্তু এটা ঠিল কিভাবে ঘটেছিল তার নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছিলনা।আমেরিকান বিজ্ঞানীরা এখন এই বিশ্বের আলোক শক্তিতে এমন একটি প্লাটার্নআবিষ্কার করেছেন যা এই মহাবিশ্বের জন্মের শুরুর দিকের চিহ্ন বহন করে।
আলোর এই ঢেউ সেসময় তৈরী হয়েছিল।প্রাথমিক সেই বিগ ব্যাং বিষ্ফোরনের পর ছরিয়ে পরে এই আলোল তরংগ।এ কারণেই সৃষ্টি মহায়াকর্শন শক্তির, যার ফলে এই সৌরজগতে সকল গ্রহ,নক্ষত্রসবলিছু একটা আরেকটাকে টেনে ধরেছে।এই বিশ্বভ্রমাণ্ড ককিভাবে তৈরী হয়েছে,আমরা কিভাবে বর্তমান অবস্থায় এসেছি-এই গবেষণা আআমাদের বুঝতে সাহায্য করবে’ বলেন তিনি।
মহাজগতের এই সম্প্রসারিত হয়ার ঘটনা প্রথম আলোচনায় আআসে আশির দশকের শুরুতে।
মূলত বিগ ব্যাংের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতেই এই ধারনা।কিন্তু এই তত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই।
যেমনঃ- আকাশের যেকোন দিক থেকে মহাকাশের গভীরে তাকালে মোটামুটি সব একই রকম দেখা যায়।এর পিছনে উত্তর ছিল যেঃ একেবারে সশুরুর দিকে,খুব দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে যদি অসমতল কিছু থেকে থাকে, সে সবও সমান হয়ে গিয়েছিল।
এবং তারপর থেকেই এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে।
আমেরিকার বিজ্ঞানীরা বলেছে যে তারা এখন সম্প্রসারিত হওয়ার কিছু তথ্য প্রমাণ ধরতে পেরেছে।তারা এএর নাম দিয়েছে বি-মোড পোলারাইজেসন।
বলা হচ্ছে যে,বিষ্ফোরনের ফলে মহাকর্ষন জনিত শক্তির কারণে ই মহাবিশ্বে এই আলোর তরংগ সৃষ্টি হয়েছে যা ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের টেলিস্কোপে
0 comments: